দলীয় পতাকা খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ : উত্তেজনা এলাকায়

16th November 2020 6:49 pm বাঁকুড়া
দলীয় পতাকা খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ : উত্তেজনা এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দলীয় পতাকা টাঙানো এবং তা খুলে ফেলে দেওয়া কে কেন্দ্র করে  ইন্দাসের গোবিন্দপুরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে l বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ গতকাল রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীরা গোবিন্দপুরে টাঙানো বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে ফেলে দেয় । আজ দুপুরে ওই পড়ে থাকা পতাকা সংগ্রহ করতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীরদের  উপর হামলা চালায়।  আর তখনই দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে আহত হয় তিন বিজেপি কর্মী । বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল । গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর ঘটনা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে বলে দাবী তৃণমূলের ।  বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার লিখিত অভিযোগ করা হয় ইন্দাস থানায় । পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , এদিন দুপুরে গোবিন্দপুরে ফেলে দেওয়া দলীয় পতাকা সংগ্রহ করছিল বিজেপি কর্মীরা l সে সময় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে বলে অভিযোগ  l তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে l লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে l তাতে দুপক্ষের তিন জন জখম হন l ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় l খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে l জখম কর্মীদেরকে ইন্দাস ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় l 
পুলিশ জানিয়েছে গোবিন্দপুরে দু'পক্ষের মধ্যে একটা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে l পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে l





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।